বিরল দর্পণ:
শুধু গ্রীস্মকাল নয় সারাবছর আম মিলবে যে গাছ থেকে। দিনাজপুরের বিরলে বানিজ্যিক ভাবে কাটিমন জাতের আমের বাগান কৃষকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এই কাটিমন আম বারমাস সংগ্রহ করা যায় বলে এর চাহিদা রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এই আমের বাগানীরা অসময়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন তাদের বাগানের আম। কাটিমন আম বাগান গড়ে তুলতে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
একই গাছে কোথাও মূকুল, কোথাও পাকা আম এছাড়াও বিভিন্ন আকারের আম ঝুলছে থোকায় থোকায়। কাটিমন জাতের এই আম বারোমাস গাছ থেকে সংগ্রহ করা যায় বলে এই আম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সৌখিন বাগানীদের কাছে।
দিনাজপুরের বিরলে বানিজ্যিক ভাবে বারোমাসী কাটিমন আমের বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষক মমিনুল ইসলাম। উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মিপুর গ্রামে তিনি ২০১৭ সালে দুই একর জমিতে এই বাগান গড়ে তোলেন। বাগান শুরু করার দুই বছরের মাথায় কিছুটা ফলন আসতে শুরু করে। তবে গত তিন থেকে চার বছর যাবৎ ব্যপক ফলনও আসছে এবং বিক্রি শুরু করেছেন। এই বাগানের প্রায় এক হাজার আম গাছ রয়েছে। প্রায় সব গুলোতেই বেশ আশানরুপ ফলন আচ্ছেন তিনি। অসময়ে এই কাটিমন আম প্রতি কেজি বিক্রি করছেন তিনশ থেকে সাড়ে তিনশো টাকা দরে। কাটিমন আম সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কৃষক মমিনুল ইসলামের বাগানে জৈবিক পদ্ধতিতে আম উৎপাদন করছেন। বছরে তিন থেকে চারবার তিনি এই বাগান থেকে আম সংগ্রহ করেন।
কৃষক মমিনুল ইসলাম জানান, অন্যান্ন ফসলের থেকে আমের বাগান অনেক লাভবান। সবচেয়ে বেশী বারমাসী কাটিমন আমের বাগান। তার বাগানে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে অনেকে বাগান পরিদর্শন করতে আসছেন এবং কাটিমন বাগান করার জন্য কৃষক মমিনুলের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, এই অঞ্চলের মাটি কাটিমন আমের জন্য বেশ উপযোগি। এই বাগান বাড়ানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। তিনি আরো বলেন, বিরল উপজেলায় প্রায় ১০ একর জমিতে বারোমাসী কাটিমন আমের বাগান রয়েছে।
Leave a Reply