1. subalray72@gmail.com : বিরল দর্পণ : বিরল দর্পণ বিরল দর্পণ
  2. info@www.biraldarpon24.com : বিরল দর্পণ :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন

বিরলে ভাষার কারনে আর ঝড়ে পড়বেনা আদিবাসী কড়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী

  • Update Time : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৭ Time View

বিরল দর্পণ:
দেশের একমাত্র ক্ষুদ্রনৃ-গোষ্ঠীর প্রায় বিলুপ্ত ‘কড়া’ সম্প্রদায়ের বাস দিনাজপুরে। উত্তরাঞ্চলে আদিবাসী ৩০টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠি ‘কড়া’। এই সম্প্রদায়ের মানুষ ভাষাগত কারনে শিক্ষা জীবন ও জীবন মান উন্নয়ন হয়নি সেইভাবে। উচ্চ শিক্ষা তো দূরের কথা, মাধ্যমিক গোন্ডি পেরিয়ে কলেজ পর্যন্ত যেতে পারেনি কেউ। কিন্তু একজন ছাত্র এই অসাধ্যকে সম্ভব করেছেন, সে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার মত এখন ওই গ্রামের অনেকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। গ্রামে স্থাপন হয়েছে কড়া পাঠশালা নামের একটি স্কুল। এই সম্প্রদায়ের জীবন মান উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা। দেশের ক্ষুদ্রনৃ-গোষ্ঠীর ‘কড়া’ সম্প্রদায়ের একমাত্র ঠিকানা দিনাজপুরের বিরল উপজেলার হালজায় ঝিনাইকুড়ি গ্রামে। প্রায় বিলুপ্ত এই জাতি গোষ্ঠির আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসলেও নানা কারনে পিছিয়ে রয়েছেন তারা। এক সময় বন-জঙ্গলে শিকার করে জীবন-জীবিকা চললেও বর্তমানে কৃষি ও কৃষি শ্রমিকের কাজ করেই কষ্টে দিন পাড় করছেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ। শুধু তাইনয় এখন অবধি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কেউ পা রাখতে পারেনি কলেজে। এমন বাস্তবতায় এবং চরম প্রতিকুলতার মধ্যেও কড়া সম্প্রদায়ের একমাত্র নক্ষত্র লাপল কড়া পা রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। লাপল তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করেছেন ভাষাগত কারনে ক্ষুদ্রনৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ ঝড়ে পড়ছে। তাই নিজ উদ্যোগে এবং স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থা ভাবনার সহযোগিতায় গ্রামে “কড়া পাঠশালা” নামের একটি স্কুল শুরু করেছেন। লাপল বিশ্বাস করেন কড়া সম্প্রদায়ের একমাত্র তারা সে নয়, তার মত এই গ্রাম থেকে অনেকেই আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কড়া পাঠশালার শিক্ষকরা আদিবাসী হওয়ায়, শিক্ষার্থীদের তাদের মতকরে এবং তাদের ভাষায় পড়াশোনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ মনোযোগী হয়েছে এবং অভিভাবকেরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। ভাবনা’র নির্বাহী পরিচালক মো: মোস্তাফিজুর রহমান রুপম জানান, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা স্কুল শেষে ও ফ্রি সময় কড়া পাঠশালায় এসে বিনামূল্যে প্রাইভেট পড়ছে। জীবন মানের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই এবং এই গ্রামটি একদিন আদর্শ গ্রামে রূপ নেবে বলে মনে করছেন তিনি। এই গ্রামে ২৪টি আদিবাসী কড়া পরিবার রয়েছে। এছাড়াও কড়া পাঠশালায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯জন এবং এর মধ্যে স্কুলে যায় ১১জন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© বিরল দর্পণ
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট