বিরল দর্পণঃ
দিনাজপুরের বিরলে ক্লুলেশ হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচনসহ জড়িত ৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে বিরল থানা পুলিশ। তারা মাদকখোর জুটি ছিল। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ধামাচাপা নিতে বন্ধুদের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল জাকির হোসেন।
জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর থেকে জাকির হোসেনের হদিস পাচ্ছিলনা পরিবারের স্বজনরা।
জাকির হোসেন (৫৫) জেলা সদরের পৌর শহরের চাউলিয়াপট্রির, মুত আবুল কাশেমের ছেলে।
বিরল উপজেলার ৩নং ধামইর ইউনিয়নের পিপল্যা গ্রামের ঢেলাপাটিয়া বাজারে জাকির ফুড প্রােডাক্টস কারখানা নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে তাকে মোবাইল ফোনে কোল দিয়েছিল সদরের বাসিন্দা বন্ধু সাজু। কিন্তু বারবার মোবাইল ফোন রিসিভের পরিবর্তে বন্ধের সংকেত ভেসে আসে তার কানে।
এব্যাপারে জাকিরের মেয়ে আলমা রাইসা প্রভাকে জানায় সে। বাবার নিখোজের বিষয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে উকিল বাবা এনায়েত হোসেন চৌধুরীকে জানায় সে। শুরু হয় খোজাখোজি। বিকাল পৌনে ৬টার দিকে জাকির হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খোজ করতে যান তারা। প্রধান প্রবেশ পথ বন্ধ দেখে বিকল্প পথে কারখানার উকি দিয়ে একজন ব্যক্তিকে রক্তাক্ত মেঝেতে উপুড় অবস্থায় দেখিতে পান তারা। এসময় চিৎকার ঘটনাস্থলে ছুটে যায় স্হানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে পৌছে আলামত সংগ্রহ করে বিরল থানা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি এবং সোর্স নিয়োগ করে ঘটনার কিছু সূত্র জানতে পারেন তারা। সুরতহাল রিপোর্টে জাকিরের কপালের বাম পার্শ্বে ভারী বস্তুর আঘাতের ক্ষত চিহ্ন এবং গলা টিপে শ্বাস রোধের আলামত লক্ষ্য করেন তারা। পরবর্তীতে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেন মেয়ে আলমা রাইসা প্রভা।
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইনের দিক নির্দেশনা মেনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আনোয়ার হোসেন, সদর সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম, বিরল ইনচার্জ আব্দুস ছবুরসহ উপ পরিদর্শক সোহেল রানা নামেন অভিযানে। আসামি সনাক্ত করে ১৮ নভেম্বর ঢেড়াপাটিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে আনিছুরের চায়ের দোকান থেকে আব্দুর রশিদ পাল্লু ওরফে পালানু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা। মাদক সেবনের সূত্র ধরে জাকিরের সাথে পাল্লু, রবিন এবং ইয়াসিন নামে তিন বন্ধুর মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। পাল্লুর দেয়া তথ্য মতে আজ ১৯ নভেম্বর বুধবার বিকালে ইয়াসিন নামে আনেকজনকে নিজের বসতবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। উভয়ের দেওয়া তথ্য মতে আব্দুর রশিদ পাল্লু পালানু নামে তৃতীয় ব্যক্তিকেগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে হত্যার কারন।
মোটরসাইকেলটি বিক্রি করার সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ০৮/০২/২৫ খ্রীঃ দুপুর বেলা অনুমান ১৪.জাকির হোসেনকে হত্যা করেছিল তারই ওই তিন বন্ধু।