বিরল দর্পণ:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল কেন্দ্রীয় নেতা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও সাবেক ২০ দলীয় জোটের একজন দক্ষ নেতা মো: মাহবুব আলম। নির্বাচন সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন বিভিন্ন আশ্বাস। নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার বেশ কিছু উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী এই প্রার্থীর।
মাহবুব আলমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহবুব আলম এবারে আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য তিনি একজন প্রার্থী। তাই, কয়েক মাস ধরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসন থেকে শুরু করে ২ উপজেলার গ্রামগঞ্জে নিজেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি গ্রাম ও শহর এলাকা হবে উন্নত। তিনি, তার নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কয়েকটি উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জনগনের ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত হলে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি গুলো বাস্তবায়নের কথা জানালেন এই প্রার্থী।
মাহবুব আলম জানান, আমার নির্বাচনী এলাকার সব ইউনিয়ন এবং শহর এলাকায় নতুন পাকা সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। পুরোনো সড়ক ও অবকাঠামো সংস্কারে জোর দেওয়া হবে। উন্নত ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনি এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করা হবে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, বোর্ড ফি ও শিক্ষা-উপকরণ দেওয়া হবে।
উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকার দরিদ্র-অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন সহ উন্নত নগরায়ণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারীমুক্ত সমাজ গঠন, শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রধারীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।
সুস্থ মন, সুস্থ দেহ প্রতিপাদ্যে খেলাধুলায় তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উৎসাহ দেওয়া হবে। বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া সামগ্রীর সরবরাহ, ক্রীড়া টুর্নামেন্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। যেসব খেলার মাঠ আছে সেগুলোর উন্নয়ন করা হবে। নতুন মাঠ নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উন্নত কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ করে, উন্নত কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োগ জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যত ধরনের সহায়তা আছে, তা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া সব কৃষককে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং দরিদ্র কৃষকদের সমানভাবে বিনামূল্যে সার দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ এলাকায় সরকারি-বেসরকারিভাবে নানামুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিভিন্ন উপাসনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে সহায়তা। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত তহবিল হতে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ-সংস্কারে সহায়তা দেওয়া হবে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প থেকে দরিদ্র নারীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন। সরকারি সহায়তায় অসচ্ছল নারীদের কর্মমুখী করার জন্য
বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সবার জন্য ভাতা নিশ্চিতকরণ। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সবার ভাতা নিশ্চিত করা হবে।
ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সরকারিভাবে বিভিন্ন আইসিটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বেকারত্ব কমাতে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
নির্বাচনী এলাকাকে নিরাপদ বাসযোগ্য ও শান্তিময় করার আশ্বাস দিয়ে মাহবুব আলম আরো বলেন, পরিকল্পিত ও মজবুত উন্নয়নে বাসযোগ্য এলাকা গড়তে চাই। নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণ আমার স্বপ্ন। আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদের এই স্বপ্নের যাত্রার সারথি হতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি এমপি নির্বাচিত হলে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের সব এলাকার উন্নয়ন হবে দেশের জন্য অনন্য উদাহরণ।
তবে, জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই আসনে এখন পর্যন্তু জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও সাবেক ২০ দলীয় জোটের নেতা মো: মাহবুব আলম অনেক এগিয়ে আছেন। কারণ, তিনি সব সময় এলাকার মানুষদের খোজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি যদি এলাকায় না থাকেন তার কর্মীরা এসে দেখা করে যান এবং সকল ধরণের সাহায্য সহযোগীতা করেন। তাই মাহবুব আলম অন্য নেতাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছেন।