বিরল দর্পণ:
সবজি হিসেবে পেঁপে বেশ লাভবান ফসল হওয়ায় দিনাজপুরে কৃষকরা বেশ উৎসাহি হচ্ছেন এই চাষে। বাড়ির আশেপাশে পরিত্যাক্ত জায়গাসহ উচু জমিতে পেঁপের চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশানরূপ ফলনের পাশাপাশি গ্রীস্মকালীন সবজি হিসেবে পেঁপের ভাল দাম পাচ্ছেন চাষীরা। এদিকে পেঁপে চাষীদের সহযোগিতাসহ কারিগরী সকল পরামর্শ প্রদান করছে স্থানীয় কৃষি অফিস।
দিনাজপুর বিরল উপজেলার রবিপুর গ্রামের কৃষক বদরুজ্জামান। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তার বাড়ীর পাশে ২০ শতাংশ জমিতে টপলেডি জাতের পেঁপে আবাদ শুরু করেন। এই আধুনিক জাত গুলোর গাছে মাত্র তিন মাসে ফলন আসতে শুরু করে। গড়ে তিন থেকে ৪ ফুট উচ্চতার গাছে গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ব্যাপক ফলন এসেছে। পেঁপের গাছ ও ফলন দেখে আশ্চর্য হয়ে যায় কৃষক। পরবর্তীতে তিনি আরো ৭০ শতাংশ জমিতে পেঁপের চাষ সম্প্রসারণ করেন। গ্রীস্মকালীন সবজি হিসেবে পেঁপের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তার বাড়ী থেকেই ব্যবসায়ীরা ২০ টাকা কেজি দরে পেঁপে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষক বদরুজ্জামানের।
কৃষক বদরুজ্জামান জানান, আমি এবারে প্রাথমিক ভাবে পেপেঁ চাষ করেছি। প্রথম বছরেই ভালো ফলন হযেছে। ২০ টাকা কেজী দরে বাগান থেকে পাইকার এসে নিয়ে যাচ্ছে। অন্য ফসলের থেকে পেপেঁ চাষ করতে বেশী টাকা লাগেনা। এলাকায় আমার পেপেঁর বাগান দেখতে অনেক কৃষক আসে। তাদেরকে আমি পরামর্শ দেই। তবে, এবারে কৃষি অফিসের সহযোগীতায় সকল প্রকার সহযোগীতা পেয়েছি। আগামীতে আমি বেশী করে পেপেঁর বাগান করবো।
শুধু বদরুজ্জামান নয় এই অঞ্চলের মাটিতে পেঁপে চাষ ভাল হওয়ায় অনেক কৃষকই এই চাষে ঝুকছেন। পাশাপাশি পেঁপে চাষে সার, বিষসহ অন্যান্য খরচ কম হওয়ায় চাষীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। উচ্চ ফলনশীল এইসব পেঁপের ফলন দেখে প্রতিবেশি কৃষকরাও বেশ আশ্চর্য্য হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের পেঁপে চাষে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। যে কারনে ধিরে ধিরে কৃষকরা পেঁপে চাষে বেশ উৎসাহী বা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সম্পূর্ন নিরাপদ উপায়ে এসব সবজি উৎপাদন হচ্ছে বলে দাবি এই কৃষি কর্মকর্তার।
দিনাজপুর জেলায় গ্রীস্মকালীন মোট সাত হাজার পনেরো হেক্টর জমিতে পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হচ্ছে।
Leave a Reply